রবি/২০২৪-২৫ মৌসুমে ভৈরব উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি ব্লকে বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা প্রস্তুত করে বোরো ধানের চারা তৈরি করা হচ্ছে। একই সাথে কৃষক-কৃষানী ভাই বোনদের বীজতলার পরিচর্যা নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
#বীজতলার_পরিচর্যায়_করনীয়:
১। বোরো ধানের বীজতলায় সবসময় নালা ভর্তি পানি রাখা উচিত।
২। বোরো মৌসুমে শীতের জন্য চারার বাড়বাড়তি ব্যহত হয়, চারা হলুদ হয়ে যায় আস্তে আস্তে শুকিয়ে মারা যায়। এ কারণে শৈত প্রবাহের সময় বীজতলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তখন বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি রাখতে হবে।
৩। সকালে রাতের পানি বের করে নতুন করে পানি দিতে হবে তার জন্য নলকূপের পানি প্রয়োগ করা সবচেয়ে ভালো।
৪। প্রতিদিন ভোর বেলায় কাঠি দিয়ে কুয়াশা ঝরিয়ে দিতে হবে।
৫। বীজতলার চারা গাছ হলদে হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করুন। এর পরও চারা সবুজ না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করুন।
৬। চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি অ্যাজোস্ট্রবিন বা পাইরোক্লোস্টোবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে বীজতলায় বিকেলে স্প্রে করতে হবে।
৭। জমিতে রোপনের জন্য কমপক্ষে ৩৫-৪৫ দিনের চারা ব্যবহার করতে হবে। এ বয়সের চারা রোপণ করলে চারার মৃত্যুর হারও কমে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস